শিক্ষাগুরু ওয়াহিদুল হকের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হলো কণ্ঠশীলনের দ্বিবার্ষিক আয়োজন ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০২০। গত ৬ ও ৭ই মার্চ ঢাকার কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কণ্ঠশীলনের আবর্তন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবং দেশের বিশিষ্ট নাট্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

৬ই মার্চ শুক্রবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। “সুরতীর্থ”-র পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রসংগীত, কণ্ঠশীলনের সদস্যদের বৃন্দ আবৃত্তি, এবং তামান্না রহমান ও তাঁর দলের নৃত্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ অনুষ্ঠানে ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব সম্মাননা দেয়া হয় মঞ্চসারথি আতাউর রহমানকে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে আরো ছিল আবর্তন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, তক্ষশিলার পরিবেশনায় ব্রতচারী নৃত্য, ঢাকার বাইরের আবৃত্তিশিল্পীদের একক আবৃত্তি ইত্যাদি।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বিশেষ আয়োজন। এই দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় কণ্ঠশীলনের সদ্য শেষ হওয়া চতুর্নবতি (৯৪), পঞ্চনবতি (৯৫) ও ষণ্নবতি (৯৬) আবর্তনের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞানপত্র বিতরণ। এই অনুষ্ঠানে প্রদায়কগুণিন্‌ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ম হামিদ। এছাড়া এদিন কণ্ঠশীলনের আবৃত্তি প্রযোজনা “বঙ্গবন্ধু: ভালোবেসে হৃদয়ে রেখেছি”-এর প্রথম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়। আবৃত্তিশিল্পী ও লেখক হাসান জাহাঙ্গীরের রচনা ও গ্রন্থনায় এই প্রযোজনাটি নির্দেশনা দেন কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত। এছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল ঢাকার আবৃত্তিশিল্পীদের একক আবৃত্তি, শিশু সংগঠন কল্পরেখার পরিবেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি, জারিগান ইত্যাদি।